বুধবার (৩০ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগ থেকে পাঠানো এক চিঠিতে এ সতর্কতা জানানো হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (CII), ব্যাংক, আর্থিক খাত, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে আশঙ্কার তথ্য পাওয়া গেছে।
এ প্রেক্ষিতে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ছোট ও মাঝারি ধরনের সাইবার হামলা ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে নিচের সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে—
১. সার্ভার, ডেটাবেইস ও আইটি সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করতে হবে।
২. অপ্রয়োজনীয় পোর্ট বন্ধ ও অনুমতি-ভিত্তিক এক্সেস নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ৩-২-১ ব্যাকআপ কৌশল অনুসরণসহ ডেটার গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যাকআপ ও রিস্টোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. ডেটা এনক্রিপশন বাধ্যতামূলক।
৫. গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু করতে হবে।
৬. সিকিউরিটি টুলস ও নজরদারি ব্যবস্থার গুরুত্বারোপ।
৭. ইডিআর, অ্যান্টিভাইরাস ইত্যাদি হালনাগাদ ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৮. ইনসিডেন্ট রেসপন্স প্ল্যান ও প্রস্তুত টিম রাখতে হবে।
৯. সন্দেহজনক লগইন, ফাইল পরিবর্তন বা এক্সটারনাল সংযোগ মনিটর করতে হবে।
১০. রিমোট এক্সেস, ভিপিএন ও প্রিভিলেজড অ্যাকাউন্টস রিভিউ করতে হবে।
১১. হামলার লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।
১২. ২৪/৭ নিরাপত্তা মনিটরিং সেন্টার পরিচালনার জন্য জনবল নিশ্চিত করতে হবে।
১৩. লোড ব্যালেন্সার স্থাপন ও বিকল্প পরিকল্পনা রাখতে হবে।
১৪. সিস্টেম সচল রাখতে ফলব্যাক প্ল্যান প্রস্তুত করতে হবে।
১৫. বিজনেস কনটিনিউটি প্ল্যান ও ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান হালনাগাদ ও বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব সতর্কতামূলক পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো সম্ভাব্য সাইবার হামলা প্রতিরোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।
চিঠিটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পেমেন্ট সেবা প্রদানকারীদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।